সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

লাখাইয়ে বর্ষাকালে পানির হাহাকার ফসলি ভুমি এখন গোচারণ

এম এ ওয়াহেদ লাখাই , এখন বর্ষাকাল যে জমিতে পানি থাকার কথা ৬ থেকে ৭ ফুট পানি সেখানে বর্তমানে গোচারণ ভুমিতে পরিণত। এক সময় প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী লাখাই উপজেলায় যে সব এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি থাকার কথা বর্তমানে সে সব এলাকায় এখন নেই কোন পানি।

৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত লাখাই উপজেলা যার আয়াতন ১৯.৫৬ বর্গকিলোমিটার। মোট জমির পরিমাণ ১৭.৩২ হেক্টর এবং নিট ফসলী জমির পরিমাণ ১৬.১০০হেক্টর। মোট ফসলী জমির পরিমাণ ১৬.৪০০ হেক্টর। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলা লাখাই ইউনিয়ন ও বুল্লা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ব্যাতিত অন্য ৪ ইউনিয়নের উঁচু জমিতে নেই বর্ষার পানি। বামৈ, মোড়াকরি, মুড়িয়াউক ও করাব ইউনিয়নের মাঠ গুলিতে এখনও পানির দেখা মিলেনি। ফলে আগামী রোপা আমন মৌসুমে ফসল উৎপাদন ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। উপজেলা তথ্য সুত্রে জানা যায় উপজেলার উত্তরে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা, দক্ষিণে বি-বাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা পূর্বে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা সীমানা।

বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আছে ফসলের মাঠ, হালট,বিল।বর্ষাকালে বিল হাওরে পরিণত হয়।ফসলের মাঠে মাঝে মাঝে আছে হাওর গোচারণ ভুমি। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে পানি থাকার কারণে ফসলী জমি এখন গোচারণ ভুমিতে পরিণত। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন এখন আষাঢ় মাস বর্ষার পানিতে থৈথৈ করার কথা কিন্তু মৌসুমী বায়ুর প্রভাবের কারণে ভরা বর্ষা মৌসুমে নেই পানি। এ ছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বর্তমানে ওই ফসলী জমি এখন গোচারণ ভুমিতে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত ও বর্ষার পানি আশানুরূপ না হলে আগামী রোপা আমন চাষে আশানুরূপ ফসল উৎপাদন হবেনা। এর কান উল্লেখ করে বলেন প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত হলে ফসলী জমিতে যে পরিমাণে পলি পড়ার কথা সে পরিমাণে জমিতে পলিমাটি না পরলে আগামী রোপা আমন মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হবে না বলে আমি মনে করি।

সম্পর্কিত