
মাহমুদুল হাসান
যশোরের সদর উপজেলাধীন রুপদিয়া বাজারের একাধিক অসাধু দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বাসি ও পচা মিষ্টি ক্রয় করে ক্রেতারা নিয়ত প্রতারিত হলেও সূরাহ মিলছেনা।উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দুষছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগের মুখেও অধিক লাভের আশায় অসাধু মিষ্টি বিক্রেতারা তাদের অপকর্ম বন্ধ না রাখায় প্রতিকার পাচ্ছেনা ভোক্তা সাধারন। অভিযোগ জানালেও ওল্টো ক্রেতারা অশোভন আচরনের স্বীকার হচ্ছে মিষ্টি বিক্রেতাদের কাছ হতে।
চিনির মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে সর্বনিন্ম ৩৫০ টাকা দরে প্রতি কেজিতে মিষ্টি বিক্রয় করলেও অধিকাংশ দোকানেই মিলছে বাসি ও পচা মিষ্টি। একাধিক প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন মজুদ করে রাখা মিষ্টি পুনরায় সাজিয়ে বিক্রি করছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রুপদিয়া বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন-“মিষ্টি ঘর”,“বৈশাখী মিষ্টান্ন ভান্ডার”,“ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার”,“মুসলিম মিষ্টান্ন ভান্ডার” ও“ সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী” স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করেই নোংড়া পরিবেশেই মিষ্টি বিক্রয় করছে। হোটেল ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বৈধ্য কাগজপত্র ছাড়াই চলছে দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রয়।
রুপদিয়া বাজারের পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা মশিয়ার অভিযোগ করে জানান,এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের দই কিনলে ওজনে কম থাকে যা ক্রেতার সাথে প্রতারনা।সাম্প্রতি বাজারে চিনির দাম কমলেও দই,মিষ্টির দাম কমাইনি বলে তিনি আরো জানান।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,বাসি বা পচা মিষ্টি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া,ফুডপয়জনিং,টাইফয়েডসহ নানা পেটের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এসব খাবার প্রানঘাতী হয়ে ওঠতে পারে। অভিযোগ সম্পর্কে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,অভিযোগ গুলো ভিত্তিহীন।
ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয় অবগত করে যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি )নুসরাত ইয়াসমিন এর নিকট প্রতিকার জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে জানান,শীঘ্রই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনাণুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।