
নিজিস্ব প্রতিবেদক :: যশোরের বেনাপোল পোর্টথানাধীন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজারের কথিত আড়ত ব্যবসায়ী ইকবালের অর্থবিত্তের মুল উৎস হচ্ছে অনলাইন জুয়া। লোক চক্ষুর অন্তরালে বেনাপোলের কলেজপাড়া এলাকার নার্সারী ব্যবসায়ী আয়াতুল্লার ছেলে ইকবাল দশ বৎসরের অধিক সময় ধরে অনলাইন প্লাটফর্মে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,টেলিগ্রাম বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ বা চ্যানেল চালিয়ে জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছে বলে জানা গেছে।
পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকলেও ক্রিকেট ম্যাচ,ক্যাসিনো গেমস ও লটারির মত জুয়া পরিচালনা করেই রাতা রাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে কোটি পতি বনেছেন এই ইকবাল। বেনাপোলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নামে,বেনামে ক্রয় করেছেন সম্পত্তি,বাড়ি ও গাড়ী।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অনলাইন জুয়া শাস্তিমুলক অপরাধ হলেও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে নিজেকে আড়ত ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে থাকেন। পরিচয়ের বৈধ্যতা পেতে আনুমানিক এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি অত্যধুনিক হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে ভাড়ায় পরিচালিত করে থাকেন।
সামাজিক মর্যদা পেতে নিজিস্ব ভবনে দারুল উলুম বোয়ালিয়া কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। আয়-ব্যায় সংক্রান্তে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা এড়াতে বেনাপোলের একটি ব্যাংক হতে সিসি লোন পাশ করিয়েছেন যা প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জুয়াড়ী জানান,বেনাপোলে এলাকায় একটি গোপন কক্ষে অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের সেটাপ বসিয়ে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হয়েছেন। জুয়ার সাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট ম্যাচ,ক্যাসিনো গেমসে বাজি রাখার ব্যবস্থা করে অর্থ লেনদেন করে বা কমিশন আদান প্রদান করে। জুয়ার সাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে অন্যদের জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে বা সুবিধা দেয় ইকবাল।
এ সমস্ত বিষয়ে জানতে ইকবালের মুঠো ফোনে কথা বললে সাংবাদিক পরিচয়ে কল কেটে দেন।বারংবার কল করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যাইনী। স্থানীয় একাধিক সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যাপক অনুসন্ধান চালালে দেখা যায়, চট্রগামের বোয়ালখালী থানায় ইকবালের নামে একটি অপহরন মামলা( নং-১৫)রয়েছে।ঐ মামলায় জেল হাজতে থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও জড়িয়েছে পূর্ব পরিচিত পেশায়।
জুয়াড়ী হিসাবে তাকে বেনাপোল এলাকায় তেমন কেউ না চিনলেও দেশের অন্যান্য জেলা শহরসহ বিদেশীদের কাছে বড় মানের জুয়াড়ী হিসাবে সুপরিচিত ইকবাল। ইকবাল পরিচালিত অনলাইন জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন এলাকার যুব সমাজসহ ওঠতি বয়সী তরুণেরা।