বেনাপোল প্রতিনিধি :: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যগারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারত হতে আমদানিকৃত টু হুইলার মোটরপার্সের একটি পণ্য চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটিতে ঘোষণাকৃত ওজনের চেয়েও প্রায় দুই টন আমদানি পণ্য বেশী রয়েছে বলে জানা গেছে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়,পণ্য চালানটির আমদানিকারক সামিরা ট্রেডিং যশোর ও পণ্য খালাস প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছে ওভারসীস ট্রেডিং করপোরেশন।পন্য চালানটি গত ২/৯/২০২৫ ইং তারিখে বেনাপোল বন্দরের পণ্যগারে রাখা হয়। যাহার মেনিফেস্টো নং-৬০১,২০২৫,০০২,০০৫৫৭৪৭,০৯ ও পণ্যের ওজন ৩৪টন ৩৩৯ কেজি।
২৩৯৪ প্যাকেজ ঘোষিত এ পণ্য চালানটিতে ১৭২১ কেজি মাল ঘোষণা বর্হিভূত ওজন অনুযায়ী আমদানি করার দায়ে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আটককৃত পণ্য চালানের ব্যাপারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ প্রশ্নে? পণ্য চালনটি পরীক্ষনের দায়িত্বে থাকা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মনিউর পণ্য চালানটি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিনিধিকে জানান,ফাইল না দেখে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বলা যাবেনা।
এবিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত কমিশনার মুশফিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি পণ্য চালানটি আটকের বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।
আমদানি পণ্য চালান আটকের ঘটনায় আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ও মিনোনিত সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ওভারসীস ট্রেডিং এর মালিকের মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ না করায় এ সংক্রান্তে তাদের বক্তব্য জানা যাইনী।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,রাজস্ব কর্মকর্তা মনিউরের সহায়তায় বেনাপোল বন্দরের শুল্ক ফাঁকি চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন নামীয় ভাড়া করা লাইসেন্স ব্যবহার করে ঘোষণা বর্হিভূত বা মিথ্যা ঘোষণায় ভারত হতে আনা আমদানি পণ্য চালান অনায়াসে বন্দর হতে পণ্য খালাস নিয়ে যাচ্ছে যা এনবিআর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠ তদন্তে বেরীয়ে আসবে।বেনাপোল বন্দরের ২৭নং শেডে আটককৃত পণ্য চালানটিরি অনিয়ম ঢাকতে তদবির মিশনে নেমেছে একটি মহল।
উল্লেখ্য,বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও সি এন্ড এফ এজেন্ট মালিকের যোগসাজজে অসাধু আমদানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কিংবা নাম মাত্র রাজস্ব পরিশোধ করেই বন্দর হতে আমদানি পণ্য চালান ছাড় করিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।