বেনাপোল প্রতিনিধি :: যশোরের বেনাপোলপোর্টথানাধীন বেনাপোল পাটবাড়ি এলাকার দুষ্কৃতিকারী সুজন( ২৮ ) কর্তৃক বেধড়ক মারপিটের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন একই পরিবারের দুই সদস্য।সুজন বেনাপোল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের শামসুরের ছেলে।
আহতরা হলেন- একই ওয়ার্ডের হাবিলপাড়া এলাকার আবু জাফরের স্ত্রী মোছাঃ সালেহা খাতুন ও জামাতা মোঃ সাইফুল ইসলাম ( ৩০)। মারপিটের ঘটনায় আহতের ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার কর্ত্যবরত ডিউিটি অফিসার মঙ্গলাবার সকালে অভিযোগ দায়ের এর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ঘটনার তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১লা সেপ্টেম্বর২০২৫ ইং তারিখ বিকালে বাদীর ৪ বছর বয়সী কন্যা বসত বাড়ীর পাশের একটি মেহগনী বাগানে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করছিলো।এ সময় অভিযুক্ত আসামী সুজনসহ ৭/ ৮জনের অজ্ঞাতনামা একটি দল ঐ বাগানে গিয়ে বাচ্চাদের বকা ঝকা করে বাগান হতে তাড়াতে ধাওয়া করেন।
এসময় বাদীর ভাবী সুজনকে তাড়ানো কারন জানতে চাইলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে সুজনের সাথে থাকা অন্যান্যরা লাঠি সোটা,দেশীয় অস্ত্র,রড,চাপাতি নিয়ে বেআইনী ভাবে বসত ভিটায় প্রবেশ করিয়া পরিবারের সকল সদস্যদের মারধর করে গুরুতর জখম করেন।
সুজনদের সজ্ঞবদ্ধ হামলা ঠেকাতে বাড়িতে থাকা বোন জামাই সাইফুল এগিয়ে গেলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতের হাতে অস্ত্রপাচারের জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
স্থানীয় একাধিক প্রতিবেশী জানান,সুজন একজন গুন্ডা প্রকৃতির লোক।সে প্রায়ই এলাকায় অসামিাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।
আমিরুল পরিবারের উপর সুজন ও তার বাহিনীর বিনা কারনে হামলার ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।